বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ মেহেদী হাসান {পাবনা প্রতিনিধি}
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের মোঃ আব্দুর কাদেরের ছেলে মো: ছামিউর রহমান খেলনা গাড়ি বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বেতুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছামিউর। প্লাস্টিকের বোতল, পুরাতন ফোনের ব্যাটারি, পুরনো মোটর, বৈদ্যুতিক তার, কাগজ, বোতলের মুখ দিয়ে সে খেলনা গাড়ি আবিষ্কার করেছে। নানা ধরনের খেলনা গাড়ি তৈরি করছে। ভবিষ্যতে সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তার বাবা পেশায় একজন ব্যাবসায়ি, মা মোছা: রেহানা পারভিন গৃহবধূ। ছামিউর তৈরি এই খেলনা গাড়ি দেখতে পাড়া প্রতিবেশী সহ অনেকেই প্রতিদিন তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন। এতে তার পরিবারের লোকজন সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা গ্রামের লোকজন খুব খুশি। তার মা মোছা: রেহানা পারভিন বলেন, ছোট থেকেই ছামিউর গাড়ি ও বৈদ্যুতিক জিনিস পত্রের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে। বিভিন্ন মেলায় আমরা গেলে ছেলের বায়না ছিল গাড়ি কেনা। সে গাড়ি বাড়িতে আনার পর সেগুলিকে ভেঙে দেখত ভিতরে কী আছে। তখন প্রচণ্ড রেগে যেতাম। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে ছেলে এখন নিজের হাতেই খেলনা গাড়ি বানাচ্ছে। এজন্য খুব ভালো লাগছে। ছেলে আরও ভালো কিছু তৈরি করুক যা দেশের ও মানুষের কাজে আসবে। বেতুয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আজাহার ইসলাম বলেন, ছামিউর আমাদের স্কুলের গর্ব। সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এটা খুব ভালো লক্ষ্য। তার পড়াশোনার যেকোনও সমস্যা হলে আমরা পাশে থাকব। নিজের বুদ্ধি দিয়ে এভাবে খেলনা গাড়ি তৈরি করা সত্যিই প্রসংসার যোগ্য। আমরা গ্রামের মানুষরা তার ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্য আসুক, এই কামনা করছি। ছামিউর বলে, আমার এই গাড়ি বানাতে দু’থেকে তিন দিন সময় লাগে। লকডাউন সময়ের পর এই গাড়ি বানানোর দিকে বেশি ঝুঁকেছিলাম। ইতিমধ্যেই আমি খেলনা ট্রাক্টর, খেলনা গাড়ি, মরিচ কাটা মেশিন, কাগজ কাটা মেশিন বানিয়েছি। বর্তমানে অনেক কিছু তৈরি করছি। বাজার থেকে শুধু মোটর আর পাখা কিনে আনতে হচ্ছে। এই গাড়ি বানাতে যে সামগ্রী লাগে তা বাড়িতে বা আশে পাশে পাওয়া যায়। মোটর, পাখা, প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাটারি সহ অন্যান্য জিনিস পত্র লাগছে। আমি এমন কিছু বানাতে চাই যা দিয়ে মানুষদের উপকার হয়।